সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসাতে আয়া ও নৈশ প্রহরী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ মাদ্রাসার দুইজন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
অভিযোগ সূত্র, খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা এবং সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুল হামিদ আয়া ও নৈশ প্রহরী নিয়োগের জন্য তাদের মনোনীত দুই প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন।
অভিযোগকারী আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক ও ফিরোজুল ইসলাম আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু নিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানেননা। আবার অনেক আবেদনকারী আগ্রহী প্রার্থীকেও জানানো হয়নি। (৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে শুধুমাত্র তাদের মনোনীত দুইজন প্রার্থীকে ডেকে লোক দেখানো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। এতে পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য আবেদনকারীরা অভিযোগতোলেন। অবশেষে সৃষ্ট পদে একজন নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ দেন।
এদিকে সৃষ্ট পদে (আয়া) আবেদনকারী বিনোদপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার স্ত্রী বিউটি খাতুন জানিয়েছেন, আয়া পদে আবেদন করবো ভেবে চারিত্রিক সনদের জন্য মাদ্রাসার সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তার কাছে গেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন “তোমার আবেদন করে কোনো লাভ নেই, সৃষ্ট দুই পদেই দুইজন প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। চাকরীর প্রয়োজনে তবুও তিনি আবেদন জমা দেন। একই পদে আরেকজন আবেদনকারী বিনোদপুর গ্রামের ছাইদুর রমহমানের স্ত্রী সাবানা খাতুন বলেন, আবেদন করতে চাইলে তাকেও অনুরূপ কথা বলে দূরে রাখার চেষ্টা করেন।
খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নৈশ্য প্রহরী পদে একজনকে নেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে অবশ্যই পরে টাকা নেওয়া হবে।
ঐ মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা বলেন, সকল নিয়ম-কানুন মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো প্রকার দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির বলেন, একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই এহেন অভিযোগ।
ডিজির প্রতিনিধি ও বগুড়া সরকারি মোস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রভাষক মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছই ছিলো।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।