মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
দূর থেকে ধানের জন্য প্রস্তুত করা জমির মতো মনে হলেও, আসলে এটি একটি রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে গ্রামের হাজারো মানুষ। কোনো স্যূট-প্যান্ট পড়া মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলতে পারেনা, যায়না কোনো ভ্যান কিংবা সিএনজি। এই যুগে এসেও এমন গল্পে আশ্চর্য হচ্ছেন? আসোলে এটা কোনো গল্প নয়, এমন একটি রাস্তা আছে সাঁথিয়া থানার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্য পাড়া গ্রামে। ১০/১২ বছর আগেও এই রাস্তা টা কাঁচা থাকলেও এমন চলাচলের অযোগ্য ছিলো না। রাস্তার মাঝে গজে উঠতো ঘাস। কিন্তু, সময়ের পরিক্রমায় বদলে যায় গ্রামীণ এই রাস্তাটা।
উক্ত আবাসিক এলাকায়, একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের ৫০ গজের মধ্যে গড়ে ওঠে একটি ইট ভাটা। সেই থেকে শুরু। ইট ভাটার ইট বানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয় মাটি। যে মাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রামের প্রভাবশালী কিছু মানুষ। রাস্তা নষ্ট হলেও তাদের ভয়ে কিছু বলতো না গ্রামের মানুষ। তখন ইট ভাটার পরিচালক ছিলো MBF-Molla Brick field.
তদন্তে আসে সরকারি বিভিন্ন মহল। গ্রামের মানুষ ভাটার পক্ষে কথা বলায় তখন আর ভাটা বন্ধ করা যায়নি। বিভিন্ন সমস্যার কারনে সে সময়ের ভাটার মালিক ভাটা টি বিক্রি করে দেন সুজানগরের বাঁধের হাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাদারি সরদার আর হালীম সরদারের কাছে। বর্তমানে ভাটাটি পরিচালনা করছে MSB অর্থাৎ মাদারি সরদার ব্রিক।
তিনি এসে আবার নতুন করে আরম্ভ করেন। ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করার কারনে পাশের ইট পোড়ানোর আরেকটা ফর্মা বানানো হয়। পুরো এলাকার মানুষ দের বিভিন্ন ভাবে ইট ভাটায় কাজ দিয়ে হাত করে নেয় গ্রামের মানুষ দের। এ যেনো এক বড় মাপের রাঘববোয়াল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একজন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, মেম্বরদের জানানো হলেও এ বিষয়ে তারা কোনো ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারেনাই। এমতবস্থায় ইট ভাটা বন্ধ করে রাস্তার কাজ না করলে গ্রামীণ পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ কমবে না।