হাফিজুর রহমান:
“মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই শ্লোগানকে একের পর এক বাস্তবে রুপান্তর করে চলেছেন পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২০ উপলক্ষ্যে সরকারী শিশু পরিবার বালিকা চুয়াডাঙ্গা এর ৭১ এতিম শিশুকে নতুন জামা “ঈদ উপহার” প্রদান পূর্বক মানবিকতার আরেক ভিন্নধর্মী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম। বৈশ্বিক মহামারীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়লে করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ফলে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। বিষয়টি অনুধাবন করে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা গত ২৯.০৩.২০২০ খ্রিঃ তারিখ থেকে রাতের অন্ধকারে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন। ২১ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭১১৩ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। যা এখনো চলমান আছে।
শুধু খাদ্য সামগ্রী বিতরণই নয়, মাদক উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, করোনা মোকাবেলায় লকডাইন কর্মসূচি পরিচালনা, দুস্থদের ঈদ উপহার প্রদান, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, এতিমতের সাথে ইফতার, করোনা মোকাবেলায় জনগনকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার, ফোন কল ও এসএমএস পেয়ে খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ, ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগানোসহ সকলের সাথে সমন্বয় সাধন করে ইতোমধ্যে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর নিকট মানবিক পুলিশ সুপার হয়ে উঠেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা ক্রান্তিলগ্ন উপেক্ষা করে ২১.০৫.২০২০ খ্রিঃ চুয়াডাঙ্গা সরকারী শিশু পরিবার বালিকাতে বসবাসরত ৭১ এতিম শিশুকে ঈদ উপহার হিসেবে সীট কাপড় দিয়ে তৈরি থ্রী-পিছ প্রদান করেন। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা বলেন, দেশের জনগনকে সেবা করার জন্য সরকার আমাকে বেতন, বাসা, গাড়ীসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। ফলে আমি পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি জনগণকে সেবা দিতে।