নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার (২০শে মে) রাত ৯ টার পর থেকে প্রচণ্ড গতিতে আম্ফান আঘাত হেনেছে এ জেলায়।
ঝড়ের কারণে ৩৩ কেভিএ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাত ৯টার পর থেকে জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৮ মিলিমিটার।
আম্ফানের প্রভাবে বুধবার বিকেল থেকেই জেলাব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ঝড়। রাত ৯টার পর প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানে আম্ফান। রাত ১২টা পর্যন্ত ঝড়ের গতি একই রকম বিরাজ করছে। ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। ভেঙেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৮ মিলিমিটার। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায়
ঘূর্ণি ঝড় আম্ফান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রায় সকল গ্রাম, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যে কতো তা এখনো উল্লেখিত না। আম্ফানের তাণ্ডবলীলায় সব চাইতে বেশী ক্ষতি হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি, পারকৃষ্ণপুর মদনা, কার্পাসডাঙ্গা, জুড়ানপুর ইউনিয়ন সহ মাটির সাথে মিশেগেছে মাঠের ফসল, উপরে পড়েছে গাছপাল, ভেঙ্গে পড়েছে কয়েক শত বসত ভিটা সহ অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস মহামারীর লগডাউনে যখন ঘর বন্দি মানুষ, অনেকের জীবন চলছে সরকারী ত্রানের উপরে, দেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাচ্ছে, একটু সামলে উঠতে সরকার মানব সেবায় প্রণোদনা ঘোষনা করেছেন, মানুষের চোখে মুখে যখন আশার আলো ফুটে উঠছিলো, ঠিক তখনি আম্ফান নামের সর্বনাশা ঘূর্ণি ঝড় কেড়ে নিলো অনেক স্বপ্ন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাযায়নি।