সময়ের সংবাদ:
যখন জীবনের একটি বছর অতিবাহিত হয়ে যায় তখন মানুষ জন্ম বার্ষিকী, বা বার্থডে পার্টি পালন করে।
যাতে সীমাহীন আনন্দ উল্লাস করে,মোমবাতি জ্বালায়। বিশাল আকারের কেক কাটে।আরো কত কি!তা আল্লাহ ভালো জানেন।এই জন্মৎসব সম্পর্কে প্রখ্যাত কবি আকবার ইলাহা বাদির কবিতার একটি পংক্তি খুবই তত্ত্বমূলক,সেখানে তিনি বলেছেন -আল্লাহ তায়ালা জীবনে যতগুলো বছর দান করেছেন তার একটি বছর হাতছাড়া হয়ে গেল।
প্রশ্ন হলো এটা কি আনন্দের বিষয় না ক্রনন্দননের?
বস্তবতা এটা তো ছিল আফসোস-আক্ষেপের বিষয় যে,জীবনের একটি বছর আমার থেকে বিদায় নিল।মুফতি আহমদ শফি তার ২৩শ বছর বয়স থেকে নিয়ে বাকি জীবনে জন্ম দিবসকে শোক দিবস হিসেবে কাটিয়েছেন। যখন তার জীবন থেকে একটি বছর অতিবাহিত হত তখন তিনি মরসিয়া পাঠ করতেন, যা আমরা মানুষ মারা গেলে তার স্বজনরা কেঁদে কেঁদে গাইতে দেখি বিলাপ করে কান্না করা।যদি আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করেন তাহলে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হবে যে,বাস্তবিক পক্ষেই যে সময়টুকু অতিবাহিত হয়ে গেছে তা আর কখনো ফিরে আসবেনা। তাই তার উপর আনন্দ উল্লাস করার কোনই যৌক্তিকতা নেই। বরং আমরা লক্ষ্য কররে দেখব যে,এটি আমাদের আগামী দিনের চিন্তার উৎস এবং অনাগত দিনগুলোকে কাজে লাগানোর মাইলফলক। তাইত এক ফারসি কবি বলেন “হোরেহিহে উমার মেছালে বরফকম” চুপকে চুপকে রাফতে রাফতে দাম বেদম”অর্থাৎ জীবনের মুহুর্তগুলো তুষার খন্ডের ন্যায় যাচ্ছে কমে,চুপেচুপে চলছে তা ক্ষণে ক্ষণে।
লেখক:
মোহাম্মদ হাছান মুরাদ,
সৌদি আরব জেদ্দা।