গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূত উন্নয়ন ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে বিল পাড়ের মানুষেরও জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। বিল এলাকার কাঁদা মাটির এব্রো-থেব্রো মেঠো পথগুলো ইট পাথরে সেঁজেছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দ্রুত গতির যান্ত্রিক যানবাহন। চলনবিলের রাস্তায় এখন গরু-মহিষের গাড়ির দেখা মেলা ভার। বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ির চাকা শিল্প।
চাকা তৈরির কারিগর শ্রী কুমারিশ চন্দ্র হালদার একান্ত আলাপ চারিতায় দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ৪০ বছর ধরে তিনি এই পেশায় যুক্ত। বিলাঞ্চলে বর্তমানে এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা ষোল আনার এক আনা ভাগ রয়ে গেছে। একসময় তার সঙ্গে আরো অনেকেই চাকা তৈরির কাজ করতেন। এখন তিনি একাই করছেন। অন্যরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন।
চাকা শিল্পের সেকাল আর একাল সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক বিত্তবান পরিবারে ২টি থেকে ৪টি পর্যন্ত গরু-মহিষের গাড়ি ছিল। সে সময় অধিকাংশ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের আয়ের উৎস ছিল সেই গাড়ি। গরু-মহিষের গাড়ি ছাড়া কোন গ্রামেই বিয়ে হতো না। নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ বধূদের যাওয়া-আসা চলত এসব গাড়িতে। এখন বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ভটভটিসহ ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন গাড়িতেই চলছে এসব কাজ। বিলুপ্ত প্রায় চাকা শিল্প।