ঢাকাশনিবার , ২১ জানুয়ারি ২০১৭
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ-আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. আলোচনার শীর্ষে
  7. কবিতা
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দোয়া প্রার্থনা
  12. নারী ও শিশু
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও
  15. মতামত বিশ্লেষণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

সময়ের সংবাদ
জানুয়ারি ২১, ২০১৭ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সময়ের সংবাদ: বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি মানুষ এক বা একাধিক অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। যদিও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের মোট ৩২ শতাংশ ব্যক্তির নিজস্ব পকেট থেকে দিতে হয়। স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে প্রতি বছর দশ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে এবং ১৫ কোটি মানুষ আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক পাঁচ কোটি ৬০ লাখ মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিন কোটি ৮০ লাখ মৃত্যু এখনও অনিবন্ধিত রয়ে যায়। আগামী ২০ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে চার থেকে পাঁচ কোটি নতুন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর প্রশিক্ষণ ও সেবায় লাগানোর উপযোগী করতে হবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই চিত্র তুলে ধরে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার’ অপরিহার্যতার সপক্ষে ১০টি সত্য বর্ণনা করা হয়েছে। ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করে যে কোনো রকম আর্থিক অসচ্ছলতার সম্মুখীন হওয়া ছাড়া সবাই মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অর্থায়নকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সবার জন্যই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। কারণ বিভিন্ন দেশের মধ্যেই নয় বরং দেশগুলোর ভেতরেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রাপ্যতার তারতম্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কোনো কোনো দেশে ২০ শতাংশের কম শিশুর জন্ম পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে হয়; অন্যদিকে কোনো কোনো দেশে এই হার ১০০ শতাংশ।
হু বলছে, স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার আর্থিক ঝুকি কমাতে বিভিন্ন দেশ, যেমন থাইল্যান্ড এমন এক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যেখানে সেবা গ্রহণের পর ব্যক্তির নিজস্ব পকেট থেকে সরাসরি ব্যয় না করে বরং প্রয়োজনের সময় সেবার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য কর ও বীমার মিশ্রণে তহবিল গঠন করা হয়েছে।
‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো স্বাস্থ্যসেবার খরচ সমগ্র জনসংখ্যার মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়া। এই পদ্ধতিতে করারোপ এবং/অথবা বীমার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যসেবার তহবিলে বাধ্যতামূলক অবদান রাখে। পরবর্তী সময়ে অসুস্থতার ক্ষেত্রে তারা কতটা অবদান রেখেছে তা নির্বিশেষে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারে।
বিশ্বের সব দেশই স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি অর্থ দাবি করছে। এমনকি ধনী দেশগুলোও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে ক্রমবর্ধমান খরচ এবং তাদের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য দাবির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে অপর্যাপ্ত সম্পদের কারণে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১০ সালে বিশ্বের ৭৯টি দেশে স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয়ের হার ছিল ১০ শতাংশের কম। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য অভ্যন্তরীণ আর্থিক সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বাস্থ্য খাতে রাজস্ব বাড়াতেও নানা রকম উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করছে। কর সংগ্রহ ব্যবস্থাকে উন্নত করা তার মধ্যে একটি। এ ছাড়াও তামাক ও মদ জাতীয় পণ্যের ওপর কর-শুল্ক আরোপ এবং এই কর থেকে সংগ্রহকৃত অর্থ সুনির্দিষ্টভাবে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ করা আর একটি উপায়, যা আফ্রিকার দেশ ঘানা ইতিমধ্যে প্রয়োগ করেছে।
বিশ্বে ৪৯টি দরিদ্রতম দেশের মধ্যে কেবল আটটি দেশ ২০১৫ সালের মধ্যে নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সম্পদের সাহায্যে মৌলিক কিছু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে। দরিদ্রতম দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ঘাটতি কমাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা সমর্থন অত্যাবশ্যক। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়কৃত সম্পদের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় হয়। নিরুৎসাহিত স্বাস্থ্যকর্মী, একই কাজের পুনরাবৃত্তি, ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর অনুপযুক্ত বা অতিরিক্ত ব্যবহার এই অপচয়ের অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বের সব দেশেরই করণীয় অনেক কিছু আছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্য অর্থায়ন কৌশলকে উন্নত করার পদক্ষেপকে সমর্থন করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সব পেশাজীবীকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সর্বজনীন
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।