সোমবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠক শুরু হয়।
চার বিশিষ্ট নাগরিক হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
প্রথমে পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে সেখান থেকে একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আবদুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য এসেছে। এতে আমরাও বিব্রত হবো আর তিনিও বিব্রত হবেন। তাই বিতর্ক এড়াতে তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি তাকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
এরআগে সোমবার সার্চ কমিটি ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় করে।
গত শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে তাদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় সার্চ কমিটি। এছাড়া ওই বৈঠকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঁচটি করে নাম চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বরাবর ২৭টি রাজনৈতিক দল নাম জমা দেয়।
মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে নামগুলো সার্চ কমিটিকে দেওয়া হয়। দুটি দল নাম না দিলেও চিঠি দিয়ে নাম না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাঠানো নাম থেকে সততা, কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে সার্চ কমিটি। আরও যাচাই-বাছাইয়ের পর ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটির কাছে ১২৫টি নাম জমা দেয়।