অর্থনীতিতে গ্রামীণফোনের অবদান নিয়ে টেলিনরের প্রতিবেদন
সময়ের সংবাদ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ২০১৫ সালে ১৫০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা মূল্য সংযোজন করেছে মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এই অর্থ ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট সংযোজিত মূল্যের দশমিক ৮ শতাংশ আর প্রযুক্তি খাতে অবদানের প্রায় ৩১ শতাংশ। একই সময়ে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে ১০ হাজার ৮০০ কোটি মিনিট কল ও ১ হাজার ৫০০ কোটি খুদে বার্তা (এসএমএস) আদান-প্রদান হয়েছে। গ্রামীণফোনের মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নরওয়ের টেলিনর প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৬টি ও বিশ্বের ১৩টি বাজারে টেলিনর গ্রুপের আর্থসামাজিক প্রভাবের চিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বহুজাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে টেলিনরের জন্য এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে গ্রামীণফোন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির একজন পূর্ণকালীন কর্মী গড়ে ১ লাখ ৬৯ হাজার ডলার মূল্য সংযোজন করেছেন, যা বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে একজন পূর্ণকালীন কর্মীর গড় উৎপাদনশীলতার ২৩ গুণ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের পূর্ণকালীন কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ পুরুষ, ২৭ শতাংশ নারী এবং ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশই বাংলাদেশি নাগরিক। এই সময়ে পরোক্ষভাবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে গ্রামীণফোন। টেলিনরের তৈরি করা প্রতিটি চাকরির বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬১টি চাকরির সুযোগ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। আর ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ১১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। একই সময়ে ১৩টি বাজারে টেলিনরের মোট বিনিয়োগ ছিল ৩২০ কোটি ডলার।
২০১৪ ও ২০১৫ সালে সরকারি কোষাগারে মোট ৬৪ কোটি ডলার জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন। আর মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার অবদান রেখেছে, যা অর্থনীতিতে মোট মূল্য সংযোজনের অতিরিক্ত।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পেটার বি ফারবার্গ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে অবদান রাখতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত।