সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরু দিয়ে হাল চাষের পদ্ধতি উঠে গেছে। এরপর গরুর মই দিয়ে জমি সমান করার পদ্ধতিও হারিয়ে যেতে বসেছে।
তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, বর্তমানে ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। কিন্তু সেসব যন্ত্র দিয়ে মই টেনে জমির কাঁদা ঠিকমতো সমান হয়না। কাঁদা সমান করার জন্য গরুর মইয়ের খুব প্রয়োজন।
তালম গ্রামের পদ্ম পাড়ার আব্দুল আলিম বলেন, সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, মই দিয়ে চাষ পদ্ধতি টিকিয়ে রেখেছেন।
জানা গেছে, এখনও গরুর মইয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। গরুর মই দিয়ে আব্দুল আলিমের সংসারের অভাব কেটে গেছে। এ কাজে তার ভালো টাকা আয় হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, গরুর নাঙ্গল তুলনামূলক গভীর থেকে মাটি তুলে উল্টে দিতে পারে। এতে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করা হলেও গরুর হাল ও মইয়ের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।