সময়ের সংবাদ: একটাই মাত্র টেস্ট। সেটা যখন হবে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে, সেটিতে নায়ক হয়ে উঠতে স্পিনারদের মধ্যেই লড়াইটা বেশি হওয়ার কথা। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টেস্টে সে লড়াই কাদের মধ্যে কেন্দ্রীভূত থাকবে, সেটাও যেন ঠিকঠাক—সাকিব আল হাসান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তবে সাকিব বনাম অশ্বিন লড়াই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দানা বাঁধতে শুরু করলেও সাকিবের ভাবনা একদমই সে রকম নয়। কারও সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই নয়, দলের জন্য কিছু করতে পারাতেই চোখ সাকিবের। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার হায়দরাবাদে কাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কিছু নেই। আমি এভাবে ভাবছি না এবং হয়তো সেও (অশ্বিন) ভাবছে না। সত্যি বলতে কী, আমার মনে হয় এভাবে কেউই ভাবে না। সে তার জায়গায় ভালো করছে, আমিও চেষ্টা করছি আমার কাজটা ভালোভাবে করতে। দলের ভালোর জন্য যা যা করা যায় আমি তা-ই করব।’
আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এখন এক নম্বর বোলার ভারতীয় অফ স্পিনার অশ্বিন। বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণটাই তাঁকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা এনে দিয়েছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘২-৩ বছর ধরেই ভারতের হয়ে দারুণ বল করছে সে। বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণই ওকে আলাদা করেছে। বল হাতে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারে। এটা করতে পারলে একজন বোলারের আর কিছু করতে হয় না। বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ আর আত্মবিশ্বাসই তাকে এক নম্বর বোলার বানিয়েছে।’
নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই সাকিবের মুখে শোনা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত অর্জন এখন আর তাঁকে ততটা স্পর্শ করে না। ভাবনার জগৎ দখল করে নিয়েছে দলের চাওয়া-পাওয়া। হায়দরাবাদ টেস্টেও দলের জন্য অবদান রাখতে পারলেই বেশি খুশি হবেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে টেস্টে ভালো কিছু পেতে একজনের পারফরম্যান্স যথেষ্ট নয়। সাকিবও জোর দিলেন দল হিসেবে ভালো খেলার ওপর, ‘চ্যালেঞ্জটা সবার জন্যই। ধরুন দল ২৫০ রান করল এবং পরে বোলাররা ভালো বল করল, তাহলে ওই ২৫০-ই অনেক। কিন্তু ৫০০ রান করার পরও যদি বোলাররা অনেক বেশি রান দিয়ে দেয়, তাহলে লাভ নেই। কাজেই সবাই অবদান রাখলেই কেবল দল হিসেবে ভালো করা সম্ভব।’
নিউজিল্যান্ডে এই জিনিসটাই পারেনি বাংলাদেশ দল। একদিন ব্যাটিং ভালো হয়েছে তো আরেক দিন বোলিং। হায়দরাবাদ টেস্টে সেটা চান না সাকিব, ‘সবারই অবদান রাখতে হবে, এমনকি নতুনদেরও। দায়িত্বটা সবারই সমান।’