রোবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
শিমুল হত্যা মামলায় এর আগে শনিবার ভোরে গ্রেফতার হয় এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা কে এম নাসির উদ্দীন।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আবুল হাসানাত জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরও আগে পৌর মেয়র মিরুর ভাই হাসিবুল হক পিন্টু ও হাবিবুল হক মিন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই হাফিজুল হক শহরের কালীবাড়ি মোড়ে শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের সমর্থক কলেজছাত্র ও মহল্লার লোকজন একযোগে বেলা তিনটার দিকে মেয়রের বাসায় হামলা চালান। এ সময় মেয়র হালিমুল হক মিরু তার শটগান থেকে গুলি ছোড়েন।
এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে সেখানে ছিলেন সাংবাদিক শিমুল এবং তিনি তখন গুলিবিদ্ধ হন। একাধিক গুলি তার মাথা ও মুখে লাগে।
প্রথমে তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার দুপুরে বগুড়া থেকে ঢাকায় আনার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম শুক্রবার শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে মেয়র হালিমুল হক, তার দুই ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
সাংবাদিক শিমুল হত্যার পর থেকে মেয়র মিরুকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সমকাল পরিবারের সদস্যসহ সারাদেশের সাংবাদিকরা। এ দাবিতে শনিবার সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে দেশব্যাপী মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। শিমুল হত্যার বিচার দাবিতে শনিবার শাহজাদপুরে আধাবেলা স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়।
সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার দাবিতে রোবববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে সমকাল পরিবার, বিএফইউজে ও ডিইউজে। এই কর্মসূচি থেকে দ্রুত মূল অভিযুক্ত মেয়র মিরুকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।