গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব সংবাদদাতা, সময়ের সংবাদ: “৯০ বছরেও মেলেনি জহুরা বেগমের ভাগ্যে বয়স্কভাতা”শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন গত ২৯জানুয়ারি রবিবার দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশের পর নজরে আসে অনেকের।
প্রতিবেদনটিতে আরও লেখা ছিল ‘বয়সেরভারে তার হাতে উঠেছে লাঠি। ২টি চোখে ছানি জমতে শুরু করেছে। মাঘের শীতে জোটেনি ১টি গরম কাপর। রাতে জোটে না লেপের আরাম। বয়স্ক দুর্বল শরীরে শীতের তিব্রতা সইতে না পেরে সারাক্ষণ জ্বর আর কাশি লেগেই আছে। ছেলেরা একবেলা-আধাবেলা দুমুঠো ভাত দিলেও শীতের গরম কাপড় আর অসুস্থতার কোন খোঁজ রাখে না।’
এরপর সোমবার বিকেলে তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হক পাকা রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে পায়ে হেটে সীমান্তবর্তী নওগা ইউনিয়নের প্রত্যান্ত বানিয়া বহু গ্রামে অসহায় জহুরা বেগমের বাড়িতে যান। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জহুরা বেগমকে ২টি কম্বল ও চলাফেরার জন্য ১টি স্টিক দেন। একই সাথে তিনি শীঘ্রই বয়স্কভাতা ও বিধবাভাতা কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জহুরা বেগমকে। এখানে প্রতিবন্ধীভাতা ও বয়স্কভাতা কার্ড না পাওয়া আরো ২জনের সন্ধান মেলে। তিনি তাদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং কার্ড করে দেওয়ার কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ ও লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সরকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন, ইত্তেফাকের তাড়াশ সংবাদদাতা গোলাম মোস্তফা, বিজয় টিভি’র রনি, দিনকাল প্রতিনিধি আব্দুস ছালাম, বিডি লাইভের সোহেল রানা সোহাগ প্রমুখ।
চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, অসহায় বয়োবৃদ্ধ জহুরা বেগমের বিষয়ে আমি ইত্তেফাক পত্রিকার মাধ্যমে অবগত হই এবং পত্রিকাটি যত্ন করে কাছে রেখে দিই। আমার যায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি এ বৃদ্ধ মাতার পাশে দাঁড়াতে।