গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
চলন্ত বাসে গণ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার মেধাবী জাকিয়া সুলতানা রুপার শোকে কাতর তার মা হাছনাহেনা বেগম। কেঁদ কেঁদে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারালে বুধবার সকালে তাকে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবর শুনে শোকাহত অসুস্থ মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (পিপিএম) মিরাজ উদ্দীন আহাম্মেদ।
তার পক্ষে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরে বুধবার বিকেলে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রুপার মাকে দেখতে যান তিনি। একই সঙ্গে পুলিশ সুপারের পক্ষে সু-চিকিৎসার জন্য তার হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
এ সময় ওসি (তদন্ত) মো. ফজলে আশিক, এসআই গিয়াস উদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের তাড়াশ সংবাদদাতা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত শুক্রবার বাসের ভেতর তিন হেলপার মেধাবী রপাকে একে একে ধর্ষণ করে পৈশাচিক কায়দায় খুন করে জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে রক্তাক্ত লাশ। এদিকে পরিচয় না মেলায় গত শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারীশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করে মধুপুর থানা পুলিশ। গত সোমবার ছবি দেখে নিহতের বড় ভাই লাশ সনাক্ত করার পর জানা যায় সে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের মৃত জেলহক প্রামানিকের মেয়ে।