তিনি জানান, সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতার উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিতে উল্লেখিত সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ সংক্রান্ত পত্র জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হবে। সভায় সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমানসহ দলের উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস রোববার জানান, রোববার দুপুর ১টার পর্যন্ত শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের কোনো সুপারিশপত্র তারা পাননি।
তিনি বলেন, ‘দল থেকে কোনো নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের ক্ষমতা আমাদের নেই। তৃণমূল থেকে কারো বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা আমরা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেই। কেন্দ্র তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা এখনও হাতে এসে পৌঁছেনি।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের সময় সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুর শটগানের গুলিতে আহত হন।
পরের দিন দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর থেকে পৌর মেয়র গা ঢাকা দিয়েছেন। সাংবাদিক ও আহত ছাত্রনেতার স্বজনদের পক্ষ থেকে দায়ের করা পৃথক মামলায় এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কে. এম নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।