বগুড়ায় নারী ক্ষমতায়নের অগ্রপথিক স্বপ্না চৌধুরী। এলাকাবাসীর একান্ত আপনজন “স্বপ্না আপা” নারী নির্যাতন, বিধবা পুর্নবাসন,অসহায় নারীদের সহযোগীতায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি জনসেবা মূলক কাজে জড়িত তিনি। রাজপথ থেকে অসহায় মানুষের পাশে সরব উপস্থিতি তাঁর। টানা তিনবার ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এবারের সাধারণ পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় না থেকেও পেয়েছেন বিপুল ভোট। পরাজিত হয়েও থেমে থাকেননি জনসেবা মূলক কাজ থেকে। তাঁর সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান ভোটের রাজনীতি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিতে চেয়েছেন সাধারণ জনগনের সেবায়।
নারীর প্রতি অবহেলায় তিনি সোচ্চার ছিলেন এবং থাকবেন। অবহেলিত, অসহায় নারীর আত্মসম্মান ও পুর্নবাসনে তিনি বদ্ধপরিকর। এ পর্যন্ত অসংখ্য নারীর সহায় হয়ে পাশে থেকেছেন তিনি। বিতরন করেছেন সেলাই মেশিন সহ গবাদিপশু। করোনা মহামারী কালে ঘরে বসে থাকেননি, কাজ করেছেন একজন ফ্রন্টলাইনার হিসেবে। নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছেন। মানুষের ঘরে ঘরে নিজে গিয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছেন। জীবনের শেষ সময় অব্দি তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান আর্ত মানবতার সেবায়। সংসার সামলিয়ে একজন নারীর ছুটে চলার পথে কোন বাধাই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি।