গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব সংবাদদাতা, সময়ের সংবাদ: তাড়াশ উপজেলায় পৌষের শেষ দিনে আদিবাসী পল্লী হিসেবে পরিচিত তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামে বার্ষিক পুষনা উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্র্রাম থেকে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর শত শত নারী পুরুষ প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে দিনব্যাপী এ উৎসবে যোগদান করেন।
শুক্রবার সন্ধা থেকে পুষনা উৎসব ঘিরে নানা কর্মকান্ড শুরু হয়। বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি, ঘরের দুয়ারে শলার তৈরি ভাসমান ফুল টাঙানো, ঘুড়ি উড়ানো, খড়ের পালায় আগুন দেয়াসহ আরোও কতকিছু!
উৎসব পালনের অংশ হিসেবে শনিবার ভোরে ঠান্ডা হীম জলের পুকুরে পল্লীর শিশু ছেলে-মেয়েসহ সবাই স্নান করেন। এরপর সাধ্যমত নতুন কাপর গায়ে জড়িয়ে সবাই মিলে খড়ের পালায় আগুন দেয়া হয়। এ সময় তারা পালার চারপাশ ঘুরতে থাকেন। তবে সেখানে শিশুরা তুলনামূলক বেশি অংশ নেয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পুষনা উৎসবে আলাদা ২টি স্থানে নাম কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়। গুল্টার নারায়নালয় আশ্রম ও গৌরী গৌরাঙ্গ আশ্রমে শ্রী শ্রী ঠাকুর হংসানন্দের জন্ম তিথী ছিল। তাই তিথী অনুসারে নাম কীর্ত্তন করা হয় দুটি আশ্রমে। এ বছর গৌরী গৌরাঙ্গ আশ্রমের ৫২তম এবং নারায়নালয় আশ্রমের ৪৬তম নাম কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয় বলে জানান, পল্লীর বয়বৃদ্ধ রুপচাঁদ। শনিবার সকালে শুরু হয়ে রাতভর চলে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান। এ সময় সবাইকে প্রসাত বিতরণ করা হয়। তবে স্থানীয়রা এ কীর্ত্তন অনুষ্ঠানকে হরিবাসর বলে ডেকে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কীর্ত্তন অনুষ্ঠান ঘিরে আশপাশে মেলা বসেছে। মেলায় লাড়ু, মোয়া, মুরকী, শিশুদের খেলনাসহ হরেক রকম জিনিসের সমারহ ঘটেছে।