মোঃ রাজিবুল করিম রোমিও, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এই দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ৬৪ জেলার প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে বিক্রির বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চিঠিতে আরও বলা হয়, একজন চাষীর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়।
অথচ পাবনা জেলার ভাংগুড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকায কেজি দিরে বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এই মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে আলু বিক্রয় করেন, এজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হলেও আজ শুক্রবার ভাংগুড়া উপজেলার শরত নগর বাজার, অস্টমনিষা বাজার, খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী, চন্ডিপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছে।
নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশী মুল্যে আলু বিক্রির কারন জানতে চাইলে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজারের সব্জি বিক্রেতা জালাল বলেন, আমাদের আড়তদারদের কাছ থেকে ৪১-৪২ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হয়, সেক্ষেত্রে আমরা আলু বিক্রি করব কত টাকা কেজি দরে?
কয়েকটি আড়তে খোঁজ নিয়ে মেলে ঘটনার সত্যতা। অড়তে আলুর মুল্য তাকিকায় দেখা যায় কেজি প্রতি দর ৩৯-৪১ টাকা দেওয়া আছে।
এ বিষয়ে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী বাজারে সাধারন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, হঠাৎ করে আলুর মুল্য বৃদ্ধির পেছনে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত। সঠিক মনিটরিং এর আভাবে এ সিন্ডিকেট গুলো যেমন খুশী তেমন করে দাম নির্ধারণ করে অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করছে। যার ফল ভোগ করছে সাধারন ক্রেতারা।
আলুর বাজার মুল্য স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঠিক মনিটরিং করে অসাধু সিন্ডিকেট গুলোকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাধারণ ক্রেতা গণ।