সময়ের সংবাদ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার এমন এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যেখানে সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা স্থগিত ও মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই তালিকায় নতুন করে পাকিস্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে গতকাল মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বুধবার পিটিআইয়ের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পাকিস্তান কেন নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।’
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাত দেশ ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ৯০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে। এর সঙ্গে অন্তত ১২০ দিনের জন্য সব শরণার্থীর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া স্থগিত হয়ে পড়েছে। আর দেশটির দরজা সিরীয় শরণার্থীদের জন্য অনির্দিষ্টকাল স্থগিত থাকবে।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো কেন ট্রাম্পের করা তালিকায় নেই, গত কয়েক দিনে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের প্রায়ই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রাইবাস বলেছিলেন, পাকিস্তান বিবেচনাধীন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেন, আগে শনাক্ত করা সাতটি দেশকে দিয়ে শুরু হয়েছে। আগে তিন মাস পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে অন্য দেশগুলো পেয়ে যেতে পারি কিংবা কোনো দেশকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। তবে এটা একটি পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া।
স্পাইসার বলেন, ‘মানুষ যদি এখানে বেড়াতে, ভ্রমণে বা পড়াশোনা করতে আসে, তাদের স্বাগত জানাই। আমরা সব সময় স্বাগত জানানোর দেশের তালিকায় ছিলাম। কিন্তু আমরা দরজা খুলে রেখে মানুষকে আসতে দিয়ে যা খুশি তা-ই করতে দেব, এটা হাস্যকর।’