গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
এলাকার কৃষি ফসলাদি পরিবহন ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত উপজেলার তাড়াশ-রাণীর হাট রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে। সদর থেকে রাণীর হাট পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এ পাকা রাস্তাটির কার্পেট উঠে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় সব রকমের যান চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে গর্ত হওয়ায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ-রাণীর হাট এলজিইডির এ রাস্তাটির তাড়াশ ওয়াপদা বাঁধের উত্তর দিক থেকে রাণীর হাট বাজার পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে কার্পেট ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত হওয়ায় যানবহন চলাচল করছে ধীর গতিতে। বগুড়া ও সিংড়া হয়ে নাটোর পর্যন্ত সংযোগ থাকার জন্য দীর্ঘ রুটের এ রাস্তাটির এলাকাভিত্তিক অনেক গুরুত্ব রয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টাই এই পথে বিভিন্ন যান্ত্রিকযানসমূহ চলাচল করে থাকে। ফলে গ্রামীণ এ রাস্তাটির দুপাশের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিনসাড়া হাট, গুল্টা হাট, রাণীর হাটসহ অন্য হাট-বাজারগামী হাজারও ক্রেতা সাধারণ পড়েছে চরম বিপাকে।
বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাড়াশ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তাড়াশ-রাণীর হাট রাস্তাটি এলজিইডি থেকে করা হলেও বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় রয়েছে।
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন, রাস্তাটি করার জন্য পিএমপিতে আবেদন পাঠিয়ে এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে রাস্তার কাজ শুর করা হবে।