গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সাথে যুক্ত তাড়াশ থেকে ভুইয়াগাতী পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের ১৫ কিলোমিটার সড়কের কার্পেট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় সব ধরনের যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেহাল সড়কে নজরদারীর অভাবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।
যান্ত্রিক যানবাহনসহ পায়ে হেটে এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। এছাড়া চলনবিল অঞ্চলের কৃষিপণ্য, নিমগাছী সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পের মাছ এবং মালামাল আনা নেওয়ায় তাড়াশ-ভুইয়াগাতী সড়ক প্রাধান্য পায়। বিশেষ করে বগুড়া থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিবহন ক্ষেত্রে একমাত্র পথ তাড়াশ-ভুইয়াগাতী সড়ক।
এদিকে খানাখন্দে ভরা সড়ক পুলিশের টহল কাজে বাধা হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। অপরাধীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিতে শুরু করেছে এ অঞ্চলকে। গত ৬ মাসে ৩/৪ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ।
আশির দশকে নির্মিত সড়কটি ২০০৫ সালে সবশেষ পুণঃনির্মান করে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ। এরপর সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও দীর্ঘ এক যুগে সংস্কার কাজে নজর দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। যানবাহন চালক ও পথচারিদের দৃষ্টি একটু এদিক সেদিক হলেই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিগত বছরগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন।
এ প্রসঙ্গে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুহেনা মোস্তফা কামাল জানান, সড়কটি জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। আশা করছি প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন হবে।