গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
সৌচাগার না থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাড়াশ বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ লোকজন। অনেক ছুটাছুটির পর পুরুষরা ইচ্ছে মত প্রসাব করতে পারলেও নারীদের বেলায় তা একেবারেই সম্ভব হয় না।
উপজেলা সদরের এ বাজারটির সাথেই সব ধরনের সরকারি বেসরকারি অফিস থাকায় এবং বাজারের ভেতর দিয়েই জেলা শহর সিরাজগঞ্জসহ অন্য শহরগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র পথ হওয়ায় ক্রেতা, বিক্রেতা, অফিসগামী এবং সাধারণ মিলে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার মানুষের আনাগোণা হয় বাজারে। কাজের উদ্দেশ্যে যাদের অনেককেই খানাপিনা সেরে সকাল-সন্ধা বাজারেই থাকতে হয়।
অথচ বাজার বা আশপাশের অন্য কোথাও কোন ধরনের সৌচাগার না থাকায় প্রতিদিন হাজারও মানুষ দিগি¦দিক হয়ে ছুটাছুটি করেন। কারো কারো পরিচিত বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন অফিসে সুযোগ হলেও অনেকেই নিরুপায় হয়ে ইচ্ছে মত বসে পড়েন যেখানে-সেখানে। এ ক্ষেত্রে চরম সমস্যার সম্মুখিন হন নারীরা। যত্রতত্র প্রসাব পায়খানা করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাজারের সৌন্দর্য। তুলনামূলক ছোট এ বাজারটির আশপাশ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে উদ্ভট সব গন্ধ।
ক্রেতা আসানবাড়ি গ্রামের শাহালম প্রামানিক জানান দৈনন্দিন কাজের উদ্যেশ্যে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন লোকজন বাজারে এসে অনেকে প্রসাব পায়খানা করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বাজারটি উপজেলার প্রায় সারে তিন লাখ মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রসাব পায়খানার সুবিধা না থাকা খুবই দূঃখ জনক। এ সময় তার সাথে একমত পোষণ করেন রানীদিঘী গ্রামের এসাহাক আলী, গুল্টা গ্রামের আব্দুল লতিফসহ আরো অনেকে।
ব্যবসায়ী মাহাতাব উদ্দিন, প্রবীর সরকার, আলী আহ্মেদ, মীর রিপন, আব্দুল কুদ্দুস, হালিম সরকার বলেন প্রতিদিন বেচি-কিনির কারণে সকাল থেকে রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত আমরা বাজারেই থাকি। অথচ প্রসাব পায়খানার সুযোগ সুবিধা না থাকায় নিজেরাসহ ক্রেতা সাধারণের অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। এ সব ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজন অবিলম্বে বাজারে গণ সৌচারগার নির্মানের জোর দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে বাজার কমিটির সভাপতি গাজী এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে শীঘ্রই বাজারে গণ সৌচাগার র্নিমানের ব্যবস্থা করা হবে।