গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
স্কুলের শিক্ষদের কাছ থেকে ক্লাসের পড়ালেখার পাশাপাশি শিশু বিবাহের করুণ পরিণতি সম্পর্কে জেনে নিজেকে নিজেই শিশু বিবাহের হাত থেকে রক্ষা করলো তাড়াশ কাটাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রুপালি খাতুন। সে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কাটাবাড়ি নওখাদা গ্রামের তোমেজ আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে রুপালির বাবা-মা তাকে জোরপূর্বক একই উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউপির দোবিলা দেবীপুর গ্রামে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় শিশু রুপালি এ বিয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে বিয়ে সাময়িক বন্ধ হয়। গতকাল শনিবার আবারও তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে কৌশলে স্কুলের সহপাঠিদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুনকে জানায়।
এরপর তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খানকে অবগত করা হলে তিনি শিক্ষক নাছিমা খাতুন, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মনি মিঞা এবং গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে শিশু রপালির বিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় রুপালি চোখের পানি মুছে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।