সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নুরুল ইসলাম (৪৬) নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মারধরের কারণে কাঁধের হাড় ভেঙে গেছে নিশ্চিত করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামের বাড়ি বারুহাস ইউনিয়নের সান্দ্রা গ্রামে।
(৩ জুলাই) রবিবার সকালে প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামের স্ত্রী আঙ্গুড়ি খাতুন স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী একজন ভ‚মিহীন ব্যক্তি। একই সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধী। শরীরের বাম পাশ প্রায় অচল। খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতে পারেন। ডান হাত দিয়ে টুকিটাকি কাজ করতেন। বিশেষ করে ছাগল পালন করে খেতেন। প্রতিবন্ধী ভাতা ও ছাগল পালনের টাকায় আমাদের সংসার চলে। এখন কী করে খাবে!
প্রত্যক্ষদর্শী বারুহাস ইউনিয়নের সান্দ্রা ও মনোহারপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতাউর সরকার বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল সারে ৯ টার দিকে আমরা বারুহাস বাজারে সাইদুরের চা বেচার দোকানে বসেছিলাম। সেখানে প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামও ছিলেন। সান্দ্রা গ্রামের নজরুল ইসলাম দোকানে ঢুকে কাঠের খড়ি দিয়ে নুরুল ইসলামকে এলোপাথাড়ী মারতে থাকেন।
হাফিজুর রহমান নামে সান্দ্রা গ্রামের আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নজরুল ইসলাম প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামকে প্রথমে ডান পাশের কোমড়ের নিচে আঘাত করেন। এরপর কাঁধে আঘাত করলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকেন।
প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার আমি আমাদের গ্রামের পূর্ব মাঠের একটি খেতের আইলের আবর্জনা পরিস্কার করে জাল পেতে মাছ ধরার জায়গা প্রস্তুত করি। কিন্তু নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল (১৫) আমাকে বাধা দেয়। বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে ঐ ছেলে আমাকে ধাক্কা মেড়ে ফেলে দেয়। আমিও তাকে একটি থাপ্পর দেই। এরই জের ধরে নজরুল ইসলাম আমাকে মারধর করেছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
দ্রæত আইনী সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাপশন:
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ): সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম