গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
তাড়াশে জোরপূর্বক বসত বাড়ির জায়গা দখল ও একজন স্কুল শিক্ষকের ম্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তাড়াশ থানা এএসআই লতিফা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে আবুল বাসার (৩২) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই স্কুল শিক্ষক মোছা. জোছনা পারভীন। ঘটনাটি উপজেলার তাড়াশ সদর ইউপির তাড়াশ গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ার।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আবুল বাসার বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জোছনা পারভীনের স্বামী মনিরুল ইসলামের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছে। এ সবের কারণে ওই বিবাদমান জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। মামলায় আদালত মনিরুল ইসলামের পক্ষেই রায় দেন।
ঘটনার দিন গত বুধবার সকাল আনুমানিক সারে আটটার দিকে আবুল বাসারসহ আরো ১৫/২০ জনের একটি দল ওই জায়গায় ঘর উঠাতে আসে। জোছনার স্বামী বাড়িতে না থাকায় তিনি নিজে অবৈধ দখলে বাধা দেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আত্মীয় স্বজনকে জানানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বাসার ওই স্কুল শিক্ষকের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে তাকে এলোপাতারী কিল ঘুষি মারে ও জনসম্মুখে টেনে হেঁচরে শ্লীলতাহানী করে।
শেষ পর্যন্ত কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক ওই জায়গার ওপর থাকা বসতঘর ভেঙে দিয়ে তাৎক্ষণিক আর একটি ঘর তুলে ফেলে এবং জোছনাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত আবুল বাসার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মনিরুলের পিতা মরহুম মোকাদ্দেস বিএসসি আমার প্রতিবন্ধী পিতা নুরুল ইসলামের নিকট থেকে ওই জায়গা জাল দলিল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের স্বরণাপন্ন হলে আমার পক্ষে রায় দেন।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান জানান, আদালত আবুল বাসারের পক্ষে ওই জায়গার রায় দিয়েছেন। ম্লীলতাহানীর বিষয়টি তদন্ত অফিসার নিযুক্ত করে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।