লকডাউনে পশুর হাট বন্ধ রয়েছে। এরূপ বিরাম্বনায় পড়ে তাড়াশে অনেক গৃহস্থ ও খামারিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) কোরবানির পশু বেচা-কেনার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে তা বেশ সারা ফেলেছে।
জানা গেছে, পৌর শহরের সুজন কুমার মাল নামে একজন তরুণ সেচ্ছায় ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য প্রচারণার কাজটি করে চলেছেন। তাছাড়াও অনেক গৃহস্থ ও খামারি নিজেরাই গরু-ছাগল বেচার জন্য ফেসবুকে ক্রেতার সন্ধান করছেন।
সুজন কুমার মাল নামে ঐ তরুণ বলেন, করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সব পশুর হাট বন্ধ রাথা হয়েছে। এমতাবস্থায় গৃহস্থ ও খামারিরা তাদের পশু বেচা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এ কারণে তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু ও ছাগলের ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে বেচা-কেনায় সহায়তার চেষ্টা করছেন।
দেশীগ্রামের কাজেম আলী নামে একজন গৃহস্থ বলেন, তার গরুর ছবি আনুমানিক ওজনসহ ফেসবুকে দেওয়া হয়েছিলো। তারপর কয়েকদিনের মধ্যেই নিমগাছি এলাকার একজন ব্যক্তি কোরবানির জন্য গরুটি কিনে নেন।
এদিকে খোশালপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার নামে এক ব্যক্তি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি কোরবানির ছাগল কিনেছেন। এ মাধ্যম অনেকটা ঝামেলাহীন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহেল আলম খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পশু বেচা-কেনার বেশ সারা ফেলে দিয়েছে।