গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ
ফসলি জমিতে কীটনাশকের পরিবর্তে পাচিং ব্যবস্থা তাড়াশের ইরি-বোরো চাষিদের কাছে ক্রমশ্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ক্ষতিকর পোঁকা দমন ও ধ্বংস করার জন্য পাচিং ব্যবস্থায় কৃষকরা সুফল পেতে শুরু করেছে। জমিতে কীটনাশক নয় এবার পাখিই খাবে ক্ষতিকারক সব পোঁকামাকড়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ বছর ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের বেশকিছু ফসলি জমিতে কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রতিবিঘা জমিতে ৪-৫ টি গাছের ডাল পুতে রেখেছেন। আর এসব ডালে ফেইচকা, ভর ফিংগে, শালিক, বুলবুলি, বক, আরাকটকটিসহ দেশীয় প্রজাতির আরো কিছু উপকারী পাখি বসার সু-ব্যবস্থা থাকায় মাঝে মধ্যেই উড়াল দিয়ে পোঁকামাকড় ধরে খাচ্ছে।
এ সময় কৃষক আলহাজ আলী, আব্দুল লতিফ, ইসহাক আলী, শাহালম মন্ডল, আবু সাইম, আব্দুল হান্নান, জিয়া সরকারের সাথে কথা বললে জানান, গত বছর কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প পরিমাণ ধান ক্ষেতে চারা রোপনের শুরু থেকে ধান ঘরে তোলা অবদি বিষ ব্যবহার না করে গাছের ডাল পুতে রাখে। পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থার গুনাগুন দেখে তারা বিস্মিত হন। ফলে এ বছর স্ব উদ্দেগ্যে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন হারে পাচিং ব্যবস্থা অনুসরণ করেছেন।
তারা আরো জানায়, শক্তিশালী কীটনাশক ব্যবহার না করে পাচিং ব্যবস্থায় ধানের ফলনও ভালো হয়। আবার প্রতি বিঘা জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের ৭-৮শ টাকা করে সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ দুষণ এবং নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ধান ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ক্ষতিকর পোঁকা দমন ও ধ্বংস করার জন্য পাচিং ব্যবস্থায় কৃষকরা সুফল পেয়ে এ বছর নিজ উদ্যোগেই ধান ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি করেছেন। আর এ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কম খরচে ভালো ফলনের পাশাপাশি পরিবেশ দুষণ এবং নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।