গোলাম মোস্তফা:
সিরাজগঞ্জ তাড়াশে প্রবীণ সাংবাদিক রুহুল আমিন (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ ভোর রাত ৪.৩০ মিনিটে তিনি ঢাকা শেরে বাংলা নগর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স সেফ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত শনিবার দুপুরে নিজ বাসাতেই হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাঁকে বগুড়া জিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানে ২দিন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার ঢাকায় ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তার জানিয়েছিলেন।
তিনি একাধারে সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষক ছিলেন। তাড়াশ হাইস্কুল ও সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে হাইস্কুলে বাংলা পড়াতেন। সাংবাদিক হিসেবে ৮০ দশকে তিনি অতি পরিচিত, জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় নিয়োগ পেয়ে বৃহত্তর চলনবিল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন। লেখালেখির মাধ্যমে সাহিত্য জগতেও একটি ভাল অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তাড়াশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও তাড়াশ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র উপদেষ্টা ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
মৃত্যুকালে ৩ মেয়ে ১ ছেলে সহ অসখ্য গুনগ্রাহী ও শুভাকাক্সক্ষী রেখে গেছেন। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর তাঁর জানাজার নামাজ তাড়াশ ইদগাহ্ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিক রুহুল আমিনের মৃত্যুতে চলনবিল তথা বাংলাদেশ একজন সৎ, নির্ভিক ও পরিশ্রমী সাংবাদিক হারালেন। যার লেখনির মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেত চলনবিল অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, মাটি ও মানুষের কথা।
সময়ের সংবাদের পক্ষ থেকে প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে গভীর শোক জানিয়ে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।