আরিফুল ইসলামঃ
সিরাজগঞ্জ তাড়াশে চলতি মৌসুমে বোরো ধান পাকলেও শ্রমিকের সংকটে ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকেরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে গত কয়েক দিনের ঝড় ও বৃষ্টি পাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব ধান দ্রুত তুলতে না পারলে পানির নিচেই নষ্ট হয়ে যাবে। ধান তোলার জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। উপজেলার সেরাজপুর, মালশিন, বিনসারা, ঘরগ্রাম, আসানবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এখনো হাজারো একর জমির পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে। শ্রমিকের অভাব থাকায় অনেক কৃষক পরিবারের সদস্য নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন। গত দুই বছর করোনার সময়েও শ্রমিকের এতো সংকট হয়নি। কিন্তু এবার বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক এসেছে খুব কম।
উপজেলার সেরাজপুর গ্রামের আলী বকস্ জানান, তিনি এবার ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ৩০ বিঘার জমির পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি চলাচলের ব্রীজের সামনে পুকুর হওয়ায় পানি চলাচল করতে পারছে না এর কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
গুড়মা গ্রামের নায়েব আলী জানান, চলতি মৌসুমে আমি প্রায় ৭ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করেছি। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে আমার জমির ধান পেকে গেছে। এখন পর্যন্ত ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।
মালশিন গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন জানান, এবার ফলন বেশী হলেও এ বছরে বোরো ধানের লাভ হবে না। সেচ খরচ, সার ও পরিচর্চা বাবদ প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা করচ হয়েছে। আবার শ্রমিক খরচ বিঘায় ৫ হাজার টাকা। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ লুৎফুননাহার লুনা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আমি দেখেছি এই মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছিল। কিন্তু ঝড় ও বৃষ্টির কারণে জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মাঠের প্রায় ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত মাঠের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।