গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ উপেক্ষা করে তাড়াশের বিভিন্ন হাটবাজার এবং গ্রামে দেদারচে চালানো হচ্ছে অনুমোদনবিহীন করাতকল। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ২৪ টি করাতকলের মধ্যে অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৪ টির। অনুমোদন না থাকায় সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে মালিকপক্ষ। অবৈধ করাতকলের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। এদিকে অনুমোদনের জন্য নোটিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তাড়াশ ইউপির সদরে ৪টি, বোয়ালিয়া বাজারে ১টি, শ্রীকৃষ্টপুর বাজারে ১টি, মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে ২টি, বারুহাস ইউপির বারুহাস বাজারে ১টি, বিনোদপুরে ১টি, বস্তুল বাজারে ১টি, তালম ইউপির তালমে ১টি, গুল্টা বাজারে ১টি, গোন্তায় ১টি, রাণী হাটে ২টি, দেশীগ্রাম ইউপির দেশীগ্রাম বাজারে ১টি, ভোগলমান চার মাথায় ২টি, মাধাইনগর ইউপির কালিবাড়িতে ১টি এবং নওগাঁ ইউপির নওগাঁ বাজারে ৪টি করাতকল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে করাতকলগুলো চালানো হলেও অদ্যবদি অনুমোদনের জন্য আবেদন পর্যন্ত করেনি মালিকপক্ষ। বিধান উপেক্ষা করে মধ্যরাত পর্যন্ত চালানো হয় বেশির ভাগ করাতকল।
করাতকল মালিক আলহাজ ও শাজাহান আলী জানান, অনুমোদনের জন্য আমরা এখনও কোন প্রকার নির্দেশনা পায়নি।
উপজেলা করাতকল সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মতিন জানান, তাড়াশ সদরের ৪টি করাতকল অনুমোদন নিয়েছে। অন্যসব মালিকদেরও শিগগিরই অনুমোদন নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ফরেস্টার মো. মসলেম উদ্দিন বস জানান, ২৪ টি করাতকলের মধ্যে মাস খানেক আগে ৪টি অনুমোদন নিয়েছে। বাকিদের অনুমোদন নেওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ করা হয়েছে। তবে তাদের ১ জনেরও সারা নেই। লাইসেন্স পেতে ২ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিক সনদ পত্র এবং জমির প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়। লাইসেন্স ফি বাবদ ২ হাজার টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৩শ’ টাকা খরচ হয়। এ সময় তিনি কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সহায়তার আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মনসূর উদ্দিন জানান, করাতগুলোর অনুমোদনের জন্য সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাজ চলছে।