ঢাকাশুক্রবার , ২০ জানুয়ারি ২০১৭
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ-আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. আলোচনার শীর্ষে
  7. কবিতা
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দোয়া প্রার্থনা
  12. নারী ও শিশু
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও
  15. মতামত বিশ্লেষণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তাড়াশে জলাধার ভরাট ও ফসলী জমিতে পুকুর খননের হিড়িক- ড্রাম ট্রাকের মাটি পড়ে রাস্তার বেহাল দশা

সময়ের সংবাদ
জানুয়ারি ২০, ২০১৭ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
বর্ষার পানি শুকানোর শুরু থেকে প্রতি বছরের মত এবারও ফসলী জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে তাড়শ উপজেলা জুড়ে। প্রতিদিনই বাড়ছে পুকুরের পরিধি, কমছে ধানী জমি। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে খাল-বিল, নয়নজুলি ও যত্র তত্র জলধার ভরাটের প্রতিযোগিতা। ড্রাম ট্রাক থেকে মাটি পড়ে সরকারি রাস্তাগুলোর বেজেছে তেরটা।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধান চাষের পরিবর্তে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ার কারণে ফসলী জমি খনন করে মাছ চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছে এ উপজেলার কৃষকরা। ফলে প্রতিবছর আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। সেই সঙ্গে কমছে শষ্য ভান্ডার হিসেবে ক্ষ্যাত এ উপজেলার খাদ্য উৎপাদন। সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এসব জমি রক্ষার জন্য প্রশাসন কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারছে না। ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে ফসলি জমি সুরক্ষায় সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন সুশীল সমাজ।
অন্যদিকে খাল-বিল, নয়নজুলি ও জলধারগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে তেমনি পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ব্রীজের মুখে মাটি ফেলে মাছ চাষ ও বসত ভিটা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে উপজেলার ২৫হাজার হেক্টর ফসলী জমি। এরপরও টনক নড়ছে না সংশি¬ষ্ট বিভাগের। এসবের প্রতিকারে নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ।


অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় বলেছেন, পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে কোন খাল-বিল ও জলাধার বন্ধ করা যাবে না। এমনকি সেই খাল-বিল ও জলাধার ব্যক্তি মালিকানার হলেও।
এদিকে  টাকার চুক্তিতে বা লিজ নিয়ে পুকুর খনন করে চড়া দামে মাটি বিক্রি করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। ড্রাম ট্রাকে এসব মাটি বহনের সময় ট্রাকের পেছনের ঢাকনা খোলা থাকায় এবং ওভার লোডিংয়ের কারণে মাটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তাগুলো। ঘনকুয়াশা বা সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি ভিজে গেলেই যানচলাচলে ঝুকি বেড়ে যায়। এমনকি পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। কেউ কেউ এসব মাটি পরিস্কার করতে গিয়ে কোদাল দিয়ে পাকা কার্পেট তুলে রাস্তাগুলোর বাজিয়ে ফেলছে তেরটা। জনসম্মুখে এধরনের  জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড ঘটে চললেও দেখার কেউ নেই।


এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মনসূর উদ্দিন বলেন, আইনমতে অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। এমনকি ফসলি জমি অধিগ্রহণেও বাধা আছে। ইতোমধ্যে সবকটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ফসলী জমিতে পুকুর খননকারীদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। হাতে পেলেই নোটিশ করত: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। রাস্তা বিনষ্টকারী ড্রাম ট্রাকের বিরুদ্ধে শীঘ্রই মোবাইল কোট পরিচলনা করবেন বলেও জানান তিনি।
বিষয়গুলো নিয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খান বলেন, গতবারও আমি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। শীঘ্রই এসব বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।