গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
আদিবাসী শিশুদের পড়ালেখায় অনিহা থাকলেও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের কাউন্সীলিংয়ের ফলে সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে অভিভাবকেরা। শিক্ষণ পদ্ধতি ভাল হওয়ায় কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সন্তোসজক। চারশো আশি জন আদিবাসী শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়মিত পাঠদান করছেন বারটি কেন্দ্রের চব্বিশজন নারী শিক্ষক। অন্য ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় পাঁচশো জন। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানো হয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে।
বিনোদন সুবিধাও রয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীদের সময়মত ফুটবল, লুডো, পাজলগেম, পুতুল খেলা, গল্পের বইয়ের মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। কেন্দ্র থেকেই বই, খাতা, কলম, রাবার, পেন্সিলের মত উপকরণগুলো বিনামূল্যে দেয়া হয়।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিশ্বমানের বেসরকারি সংস্থা কারিতাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ২০১২ সাল থেকে আদিবাসী অধ্যূষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পরিচালনা করছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। প্রকল্প ভিত্তিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্র যেন হঠাৎ বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী সহ এলাকার সাধারণ জনগণ।