গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
বসতিঘর ভস্মীভূত হওয়ায় আট দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তাড়াশের রহিমা খাতুন। অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে খোরাকির চাল, হাস-মুরগি, ঘর-দুয়ারসহ জীবনযাপনের সবকিছু। পরিবার পরিজন নিয়ে রাতা কাটাচ্ছেন প্রতিবেশীর এ বাড়ি ও বাড়ি। আর দিনে ঠাঁই হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
যানা গেছে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে হঠাৎ রহিমা খাতুনের বসতি ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা জরো হয়ে আগুন নেভাতে নেভাতে তৎক্ষণাত আগুনে পুড়ে রহিমার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা। সবার ধারনা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুল লাগতে পারে।
রহিমা খাতুন বলেন ওই দিন রাতে আমি ঘরে ছিলাম না। আগুন জ্বলতে দেখে ছেলের বউয়ের ঘর থেকে বের হয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে লোকজন এসে অনেকক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নেভে। তবে ততক্ষণে আমার একমাত্র বসতিঘরসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনের সবকিছু পুড়ে যায়। সেই থেকে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে এ বাড়ি ও বাড়ি থাকছি। আর দিনে ঠাঁই হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
সংশ্লিষ্ট বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোক্তার হোসেন জানান, ইতোমধ্যে আমি অতি দরিদ্র রহিমার পুড়ে যাওয়া বসতিঘর পরিদর্শন করেছি। আজকেই তার পরিবারের জন্য কিছু খাবার ও কাপরের ব্যবস্থা করবো। শিগগিরই তার জন্য সরকারি সহায়তা চেয়ে সমাজসেবায় আবেদন পাঠানো হবে। এ সময় সমাজের বিত্তবানদের রহিমার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।