ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ-আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. আলোচনার শীর্ষে
  7. কবিতা
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দোয়া প্রার্থনা
  12. নারী ও শিশু
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও
  15. মতামত বিশ্লেষণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তাড়াশের চৌড়া প্রাথমিকে ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

সময়ের সংবাদ
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭ ১১:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
তাড়াশের সবচেয়ে পুরাতন উপজেলার তালম ইউনিয়নের ঐতিয্যবাহী চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানের সিমেন্ট, বালু ও ইট-খোয়া খসে পড়েছে।
শ্রেণি কক্ষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসা বন্দ করে দিয়েছেন। অনেকে আবার বিদ্যালয় ছেড়ে আশপাশের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।
১৯২৬ সালে এলাকাবাসীর একান্ত প্রচেষ্টায় ৩৬ শতক জায়গার ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় মাটির ঘরে পরিচালনা করা হত এ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সময় একযোগে দেশের ৩৬ জাহার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মধ্যে চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্তর্ভূক্ত হয়। এরপর ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারিভাবে একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ২০০৬ সালে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আরো একটি ভবন নির্মান করা হয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালে নির্মিত ভবনের ৩টি শ্রেণি কক্ষের ছাদ এবং দেয়ালের বিভিন্ন স্থানের সিমেন্ট, বালু ও ইট-খোয়া খসে ড়ড বেড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রানা, নাহিদ, রুমানা, ইশিতা জানায়, জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করার সময় প্রায়ই ছাদ ও দেয়াল থেকে ইট-খোয়া খসে পড়ে। আতঙ্কে আমরা মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে পারিনা। এসব সিমেন্ট, বালু ও ইট-খোয়ায় আমাদের বই খাতা আর পরনের কাপর ময়লা লেগে নষ্ট হয়ে যায়। বাবা মা এমন ভাঙা ভবনের কারণে বিদ্যালয়ে আসতেই দিতে চাননা।
চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জরাজীর্ণ এ ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করার বিশেষ দাবি জানিয়ে বলেন, এলাকাবাসীর মতে দায়সারাভাবে নির্মান করায় ভবনটির এমন জির্ণ দশা হয়েছে। ইট-খোয়ার ভয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা সারাক্ষণ এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে থাকছে। এছাড়া ঝড় বৃষ্টির দিনে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এ ভবনের কক্ষগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে বের করে নিয়ে যেতে হয়। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। ইতোমধ্যে অনেকবার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হলেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং দূর্গম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকা তৈরির কাজ চলছে। শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ তালিকা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেব। আশা করছি অধিদপ্তর চৌড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জির্ণ ভবনটি নিলাম করে নতুন ভবন নির্মান করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।