ঢাকারবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ-আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. আলোচনার শীর্ষে
  7. কবিতা
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দোয়া প্রার্থনা
  12. নারী ও শিশু
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও
  15. মতামত বিশ্লেষণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তাড়াশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সারাবছরই থাকে অরক্ষিত

সময়ের সংবাদ
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
অযতœ-অবহেলায় সারাবছরই পড়ে থাকতে দেখা যায় তাড়াশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। শুধুমাত্র একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এলেই চোখে পড়ে এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।
সরেজমিনে শনিবার সকালে দেখা যায়, শহীদ মিনারের সামনে ভ্যান আর ভটভটি লছিমনের গ্যারেজ করে রাখা হয়েছে। আশপাশের যত ময়লা আবর্জনা ঝাড়– দিয়ে প্রধান দুইটি গেটসহ সামনের পুরোটায় জড়ো করা হয়েছে। স্থানীয় আলম নামের এক যুবক পান-বিড়ির দোকান দিয়ে ঢেকে রেখেছে ২০০৩ সালে মিনার স্থাপন ফলকটি। ভেতরে একটু উঁচুতে নজর দিলে চোখে পড়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা ফেস্টুন।
গেটের ভেতরে গিয়ে দেখলে কেন্দ্রীয় এ শহীদ মিনারটির অবস্থা আরো বেশি করুণ। মিনারের মূল বেদীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে অসংখ্য ময়লা-আবর্জনা। আগাছায় ভরে আছে মিনারের চারপাশ। মূল বেদী আর ইটের সোলিং করা জায়গা টুকোও এসব আগাছা গজানো থেকে বাদ পড়েনি। বেদীর একদম সাথেই পেছনে জড়ো করে রাখা হয়েছে ছাইয়ের স্তুপ। পুকুরের মধ্যে ঢসে পড়েছে যেনতেনভাবে গেঁথে তোলা মিনারটির সুরক্ষা প্রাচীর। এক কোণায় রাখা হয়েছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মুরগি বিক্রির খাচা। মিনারের ভেতরের দেয়াল ঘেষে রাখা হয়েছে কসাইদের মাংস বিক্রির কাঠের চৌকি। এসব কারণে এ মিনার থেকে উদ্ভট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।
এ সময় মিনারের সামনের দেয়ালে লাগানো লোহার গ্রীলের উঁচুতে একপাট জুতা এবং ভেতরে ঠিক বেদীর সামনে আরো একজোড়া পুড়ানো জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুদিন আগেও পশ্চিমদিকের এক কোণা অস্থায়ী প্রসাবখানা হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে রফিক নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নিজ উদ্যোগে দুইটি গেটই তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এসব বিষয়গুলো একাধিকবার মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় তুলে ধরা হয়েছে। এরপরও সারাবছরই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অরক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খান বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি শীঘ্রই রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় আনা হবে। তবে শহীদ মিনারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সামাজিক সচেতনতা অধিক জরুরী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।