চলনবিল প্রতিনিধিঃ শহীদ মিনার আমাদের গর্ব। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের গভীরতম আবেগ, অনুভূতি।স্বাভাবিকভাবেই এই শহীদ মিনার আমাদের কাছে বড়ই স্পর্শকাতর। এর সামান্যতম অবমাননা, অবহেলা আমাদের ক্ষুব্ধ করে, আমরা ব্যথিত হই। অথচ সেই স্মৃতির মিনারজুড়ে আজ কেবলই অযত্ন-অবহেলার ছাপ।”শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ”৷ কিন্তু সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই কারো।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ উচ্চ বিদ্যালয় ও ধামাইচ হাট সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে ৷ জুতা পরিহিত শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ৷ বেদির ওপর সেন্ডেল পায়ে অবলীলায় হেঁটে চলে আরো বেশ কয়েকজন।
বিষয়টি এলাকার সচেতন জনসাধারণকে যেমন ব্যথিত করেছে পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ৷নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, শহীদ মিনারের বেদীতে অনুষ্ঠান না করার জন্য তিনি প্রধান শিক্ষককে পড়ামর্শ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি শুনেননি৷
এলাকার ছাত্রসমাজ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে এখন ফেসবুক ভাইরালে পরিনত করেছে ৷ তারা এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠ বিচার দাবী করছে ৷
এ কেমন ভাষা প্রেম! এমন দরদের কোন অর্থ নেই। আবেগ দিয়ে নয়, কথা দিয়ে নয়, আদিখ্যেতা দিয়েও নয়, ভাষা শহীদদের প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হবে কাজের মাধ্যমে, এবং দিবস কেন্দ্রিক নয় বরং বছরের প্রতিটি দিনে।