সময়ের সংবাদ: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত খাবার খেতে হয়। এক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় তারা রাখতে পারেন কিছু ফল। শাকসবজির মতো ফলেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং তন্তু রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সতেজ ফলমূলের এক টুকরা কিংবা ফলের সালাদ আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে ভূমিকা রাখবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেসব ফল উপকারী-
কিউই
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কিউই ফল খাওয়ার ফলে ইতিবাচক কোরিলেশন ঘটে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
কালোজাম
নিঃসন্দেহে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো ফল হলো কালোজাম। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পেয়ারা
পেয়ারায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ, সি এবং তন্তু রয়েছে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে গ্লাইসেমিক ইনড্রেক্স কমিয়ে আনার জন্যও দায়ী এই ফলটি।
চেরি
ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসে চেরি রাখতেই পারেন। তবে দিনের যে কোন ভাগেই খাওয়া যেতে পারে এই ফল।
পীচফল
সুস্বাদু এই ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই ফলটিতে গ্লাইসেমিক ইনড্রেক্স কম পরিমাণে থাকায় তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
বেরি
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের ডায়েটে বিভিন্ন ধরণের বেরি জাতীয় খাবার রাখতেই পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো- স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ক্র্যানবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি।
আপেল
আপেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একইসঙ্গে হজম সমস্যার সমাধান করে ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। আবারা আপেলে নানা পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকায় তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডুমুর
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায়, তা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের কাজ করে।
আনার
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আনারের লাল লাল দানাগুলো। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
উপরোক্ত ফলগুলো ছাড়া আরও অনেক ফল রয়েছে যেগুলোতে ফ্রুক্টোজ এবং তন্তু রয়েছে। এদের মধ্যে বাঙ্গি, আনারস অন্যতম। আবার শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম হলো খেজুর, কিসমিস, ক্র্যানবেরি প্রভৃতি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীরা এসব ফল নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।