ঢাকারবিবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৭
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ-আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের পরিবার
  6. আলোচনার শীর্ষে
  7. কবিতা
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দোয়া প্রার্থনা
  12. নারী ও শিশু
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও
  15. মতামত বিশ্লেষণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সমস্যা অনেক সমাধানও কঠিন নয়

সময়ের সংবাদ
জানুয়ারি ২২, ২০১৭ ৬:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সময়ের সংবাদ: বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। ডায়াবেটিস একবার হলে সারাজীবন বয়ে বেরাতে হয়। এই রোগ যত পুরসো হয় ততই জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই এর মূল লক্ষ্য। ডায়াবেটিস হওয়ার পর থেকে সাধারণত ৫-১০ বছরের মধ্যেই রোগীর শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে।
যাদের এখনো ডায়াবেটিস রোগ হয়নি কিন্তু হওয়ার সম্ভাবনা আছে তারা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যথাসম্ভব ঘরে তৈরি খাদ্য গ্রহণের চেষ্টা করুন। দৈনিক দুইবেলা আধা ঘণ্টা করে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন যতটুকু হওয়া উচিত ততটুকু রাখুন। ধূমপান, মদ্যপান বা সাদাপাতা-জর্দা দিয়ে পান খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। আর যাদের ডায়াবেটিস রোগ হয়ে গেছে তারা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করুন, কায়িক পরিশ্রম করুন, নিয়মানুযায়ী হাঁটা ও ব্যায়াম করুন, উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন সঠিক রাখুন।
‘ডায়াবেটিক পা’ একটি ডায়াবেটিস জনিত পায়ের জটিলতা। পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা লাগে তার মধ্যে ৮৪% হলো ডায়াবেটিক পা। ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের ক্ষত থাকলে তা চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ওষুধ, নিয়মিত জীবাণুমুক্ত ড্রেসিং ও পায়ের বিশ্রাম দিতে হবে। পায়ের ক্ষত বেশি খারাপ হলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট অংশ কেটে বাদ দিতে হবে। বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না। পায়ে যে কোনো ধরনের আঘাতের সম্ভাবনা এড়িয়ে চলবেন। ঘরে সবসময় কাপড়ের জুতা বা নরম রাবারের জুতা পড়বেন। পায়ের ওপর পা রেখে বসবেন না। পায়ের কড়া বা নখকুনি থাকলে নিজে নিজে তা কাটবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিন আপনার পায়ের তলা, পায়ের আঙ্গুল, আঙ্গুলের ফাঁক পরীক্ষা করুন। পায়ে নিয়মিত ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার মাখতে পারেন। শীতকালে রাতে ঘুমানোর সময় ঢিলা মোজা পরে ঘুমান। পা ফাটা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘ সময় জুতা-মোজা পড়ার প্রয়োজন হলে ২ ঘণ্টা পরপর কিছু সময়ের জন্য জুতা-মোজা খুলে রাখুন।
প্রাথমিকভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের খুব একটা খরচ করতে হয় না। কারণ এই রোগের সাধারণ ওষুধের দাম অনেক কম। প্রাথমিক অবস্থায় যে রোগীরা আক্রান্ত তাদের প্রতিদিন ওষুধের পিছনে ১০/১২ টাকার বেশি খরচ হয় না। আর যাদের সাধারণ ওষুধগুলো অকার্যকর তাদের একটু দামি ওষুধ খেতে হয়। এই ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০/৬০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যারা ইনসুলিন নেন, তাদের প্রথমদিকে ২০-২৫ টাকার মতো খরচ হয়। ইনসুলিনের মাত্রা বাড়লে খরচও বেড়ে যায়। তবে ইনসুলিনের কলম এর দাম অনেক বেশি। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের দেশেও আছে আবার দেশের বাহিরেও আছে। তবে অন্য সব রোগের মতো ডায়াবেটিসের জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে চিকিৎসকের কাছেই ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়। কারণ চিকিৎসকই বুঝতে পারেন কোনো রোগীর কি ধরনের চিকিৎসা লাগবে আর কি ধরনের গাইডলাইন দিতে হবে। সিলেট বা রাজশাহী এলাকার রোগীদের ঢাকাতে নিয়ে এসে চিকিৎসা করানোরও প্রয়োজন হয় না। কারণ নিজ এলাকাতে থেকেই এই রোগের উন্নত চিকিৎসা করা যায়। তবে ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্য কোনো জটিলতা থাকলে প্রয়োজনে রোগীকে দেশের বাইরে নেয়া যেতে পারে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।