গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
প্রতিবন্ধিতা আর দারিদ্র্যতার করাল গ্রাসে রাশিদার চলছে দীর্ঘ মানবেতর জীবনযাপন। হাঁটতে না পারায় হাঁটু এবং দুই হাতের ওপর ভর করে চলা ফেরা করতে হয় তার। দিন মজুর বৃদ্ধ বাবা শরীর খাঠিয়ে একবেলা খাবার যোগার করে তো আরেক বেলার কোন নিশ্চয়তা থাকেনা। জন্মগত গুরুতর প্রতিবন্ধী রাশিদা খাতুনের ৩৪ পেরিয়ে গেলেও আজও জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। সে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড় কর্ণোঘোষ গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে।
মা আছিয়া খাতুন বলেন রাশিদা জন্মগতভাবে বহুবিদ প্রতিবন্ধিতার শিকার। সে স্বাভাবিক হাটা চলা করতে পারেনা, বুদ্ধিতে ছোট শিশুদের মত। পরিবারে তিন মেয়ের মধ্যে রাশিদা বড়। অন্য দুই মেয়েকে বহু কষ্টে বিয়ে দিতে পারলেও আজও শিশুর মতই রাশিদার লালন পালন করতে হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন রাশিদা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্মালেও একজন মানুষ। অন্য সব মানুষের মতই তারও খাবার-দাবার, ঔষধ-পত্র, পোশাকাদীসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনের যাবতীয় কিছু দরকার হয়। অথচ নিদারুণ অভাবে থাকা পরও প্রতিবন্ধী ভাতা তো দূরের কথা অদ্যাবদি এতটুকো সহযোগিতার হাত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাড়িয়ে দেয়নি। তাইতো সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকতে রাশিদার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য তার মা আজও দারুণ আশাবাদী।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আলাউদ্দিন শিগগিরই রাশিদার প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন।