বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সার্চ কমিটিতে কেএম হাসানকে রাখতে রাষ্ট্রপতির কাছে দলের পক্ষ থেকে নাম প্রস্তাবের কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএনপির সন্দেহ রাষ্ট্রপতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে ও তাকে বিতর্কিত করতে এ ধরনের কথা বলা হচ্ছে।’
রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘লেখক-প্রকাশক-সাংবাদিক-বৃদ্ধিজীবী-রাজনীতিবিদদের নিয়ে দ্বিতীয় গ্রন্থ আড্ডা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এই প্রতিক্রিয়া জানান।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ূয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রকাশক মোহাম্মদ জহির দীপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে কথা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকালে আমরা সার্চ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানের কথা বলে এসেছি। এটা সর্বৈব মিথ্যা। তার ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কী তাহলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনা করে এখন সার্চ কমিটি করবেন? তাই যদি হয়ে থাকে—আমরা বলব, এই ধরনের সার্চ কমিটি গঠন করার প্রয়োজন নেই। এই সার্চ কমিটি এ দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।’
এ সময় মির্জা ফখরুল নতুন প্রজন্মকে ড. এমএ আজিজের লেখা ‘স্পইন ১৯৭১’, একে খন্দকারের ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন’, উইং কমান্ডার মিজান ও মাঈদুল হাসানের লেখা ‘মূলধারা একাত্তর’ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ার আহ্বান জানান।
মির্জা আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ওপর বই থাকলে তা ছাপতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধার সৃষ্টি করা হয়, ভয় দেখানো হয়, হুমকি দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমি একুশের বইমেলায় তাদের বই রাখতে দেয় না। আজকে একুশের বইমেলায় আওয়ামী লীগের চিন্তা ও মতের বাইরে কোনো বই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। পাকিস্তানিদের সঙ্গে এদের পার্থক্যটা কোথায়?’