এর মধ্য দিয়ে পূর্বসূরীর করা আইনটি বাতিলে নির্বাচনী প্রচারণায় যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছিলেন সে পথেই তিনি হাঁটলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে যান ট্রাম্প। সেখানে নিয়ে ওবামাকেয়ার কার্যত অকার্যকর করতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আইনপ্রণেতারা ওবামাকেয়ার বাতিল করার আগ পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগের সব শাখাকে এই আইনের অর্থনৈতিক বোঝা যতোটা সম্ভব লাঘবে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছিলেন, সরকারি পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা বীমা ‘একটি পরিপূর্ণ বিপর্যয়’ এবং ‘মারাত্মক দুর্যোগ’।
গত মাসেই তিনি বলেছিলেন, ‘ওবামাকেয়ার সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে।’ সে সময় তিনি নামমাত্র খরচে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ওবামাকেয়ারের বদলে তার পরিকল্পনা কী হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ট্রাম্প।
ওবামাকেয়ার বা ‘অ্যাফোর্ড্যাবল হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট’ বাতিলের লক্ষ্যে আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া আইন প্রস্তাবের জন্য চারটি নির্দেশনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব গত ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ২২৭-১৯৮ ভোটে পাস হয়।
এর আগের দিন মার্কিন সিনেটও একই প্রস্তাব অনুমোদন করে। প্রতিনিধি পরিষদের কোনো ডেমোক্র্যাট সদস্য নির্দেশনা কমিটি গঠনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেননি। নয় রিপাবলিকান সদস্যও এর বিপক্ষে ভোট দেন।
তবে ওবামাকেয়ার বাতিল করে দিতে চাইলেও এখন পর্যন্ত কংগ্রেসে দু’দলের কেউই এর কোনো উপযুক্ত বিকল্প বের করতে পারেননি। ফলে দুই কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। – See more at: http://bangla.samakal.net/2017/01/21/264499#sthash.1eQosxJY.dpuf