সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হান আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
এ তরুণীরই করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রোববার আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাদীর আইনজীবী রফিকুল জানান, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বাদীর সাথে সানির বিয়ে হয়। কিন্তু সানির পরিবার এ বিয়ে মেনে নেননি। পরে তারা আলাদা বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সানি ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ অভিযোগ এনে বাদী মামলাটি করেন। আাদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সানির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৫ জানুয়ারি ওই তরুণী সানির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর। সানিকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর রোববার মোহাম্মদপুর থানার সামনে সানির মা নার্গিস আক্তার দাবি করেন, ‘আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। টাকার লোভে ওই মেয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’ সানির ভাই ফয়সাল জানান, সানি যখন মিরপুরে অনুশীলন করত, তখন ওই তরুণী তাকে অনুসরণ করত। এমনকি তাদের বাসায় গিয়েও তার ভালো লাগার কথা জানিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘সানি তাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় হয়রানি করতেই মেয়েটি এসব করছে।’
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে জাতীয় ক্রিকেট দলে বাঁহাতি স্পিনার সানির অভিষেক হয়। তিনি দেশের হয়ে সর্বশেষ গত বছর টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন। ওই সময়ই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে সানিকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পর তার এখনও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি।
এজাহারের তথ্যানুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী মোহাম্মদপুরের কাঁটাসুর এলাকায় থাকেন। তার অভিযোগ, সাত বছর আগে সানির সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। এরপর বিয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ঘরে তুলে নিতে বলেন। কিন্তু সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ থাকায় ওই তরুণী সানিকে তুলে নিতে বলেন, না হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করার জন্য বলেন। এরপর গত বছরের জুনে ফেসবুকে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি পাঠান সানি। পাশাপাশি তাকে হুমকি দিতে শুরু করেন।
ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, অভিযোগ যাচাইয়ের পর প্রাথমিক সত্যতা মেলায় সানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।