সময়ের সংবাদ: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাটি প্রবাসী অধুষ্যিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ স্ব-পরিবার যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বিশ্বনাথের একটি গ্রামের প্রায় দুইশতাধিক শিশুই প্রতিবন্ধী। দেশের কোথাও এমনটি সত্যিই বিরল। উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের সেই আমতৈল গ্রামটির অবস্থান। ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম আমতৈল। এখানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। বেশীর ভাগ মানুষ মৎস্যজীবী। গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে আমতৈল গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। লোক সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একেকজন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে। গ্রামের ১নং ওয়ার্ড জমশের পুরে প্রায় ৫০ জন, ২নং ওয়ার্ডে আমতৈল ৭৫ জন এবং ৩নং ধলিপাড়ায় প্রায় ৭০ জন শিশু কিশোর ও বয়স্ক প্রতিবন্ধী রয়েছে। কোনো পরিবারে একাধিক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেও জানা গেছে। তাদের কেউ শারিরীক প্রতিবন্ধী, কেউ মানসিক প্রতিবন্ধী, কেউ বাক প্রতিবন্ধী আবার কেউ লিঙ্গ প্রতিবন্ধী।
প্রায় ২৫ হাজার লোকের বসতিপূর্ণ ওই গ্রামের মানুষের জন্য সরকারি সহায়তায় নেই কোনো সেনিটেশন সুবিধা। দারিদ্রকবলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ বাড়িগুলোতে মানুষের অসচেতনতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অগোছালো বাড়িঘর নির্মানের কারণে এলাকার জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া, আমায়শয়সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু কিশোর থেকে সকল বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গর্ভবতি মায়েদের বেলায় ঘটছে মর্মান্তিক ঘটনা। গর্ভজাত মায়ের অপুষ্টি, অসেচতনতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গর্ভকালিন সময়যাপন, যা প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার মৌলিক কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
পানি নিষ্কাষনের চরম দুর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গ্রামের ভিতরকার আমতৈল বাজারসহ প্রতিটি জনপদে দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পরিবেশ। যার ফলে স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হওয়া একজন লোকের পক্ষে এ অঞ্চলে বসবাস অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে মনে করেন এলাকার লোকজন। চরম এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা মা ও শিশুদের ভবিষ্যত বিপর্যস্ত হওয়ার কারণ সমূহের অন্যতম বলেও মনে করেন তারা। এভাবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি ঘরে এমনকি প্রতিটি পরিবারে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী ১০ বছরে এই এলাকায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য সচেতন মহলের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এটি একটি ঘনবসতি গ্রাম। গ্রামের লোকজন বিভিন্ন সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগছেন। অনেক পরিবারেই প্রতিবন্ধি শিশু রয়েছে। তাদের ভাতার ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোরদাবি জানান।
স্থানীয় চিকিৎসক শিবলী খান বলেন, গর্ভকালিন মা-বাবার অসেচতনতা ও অপুষ্টি জনিত কারণই মূলত প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এ সমস্যা নিরসন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একেকজন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে। গ্রামের ১নং ওয়ার্ড জমশের পুরে প্রায় ৫০ জন, ২নং ওয়ার্ডে আমতৈল ৭৫ জন এবং ৩নং ধলিপাড়ায় প্রায় ৭০ জন শিশু কিশোর ও বয়স্ক প্রতিবন্ধী রয়েছে। কোনো পরিবারে একাধিক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেও জানা গেছে। তাদের কেউ শারিরীক প্রতিবন্ধী, কেউ মানসিক প্রতিবন্ধী, কেউ বাক প্রতিবন্ধী আবার কেউ লিঙ্গ প্রতিবন্ধী।
প্রায় ২৫ হাজার লোকের বসতিপূর্ণ ওই গ্রামের মানুষের জন্য সরকারি সহায়তায় নেই কোনো সেনিটেশন সুবিধা। দারিদ্রকবলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ বাড়িগুলোতে মানুষের অসচেতনতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অগোছালো বাড়িঘর নির্মানের কারণে এলাকার জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া, আমায়শয়সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু কিশোর থেকে সকল বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গর্ভবতি মায়েদের বেলায় ঘটছে মর্মান্তিক ঘটনা। গর্ভজাত মায়ের অপুষ্টি, অসেচতনতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গর্ভকালিন সময়যাপন, যা প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার মৌলিক কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

পানি নিষ্কাষনের চরম দুর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গ্রামের ভিতরকার আমতৈল বাজারসহ প্রতিটি জনপদে দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পরিবেশ। যার ফলে স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হওয়া একজন লোকের পক্ষে এ অঞ্চলে বসবাস অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে মনে করেন এলাকার লোকজন। চরম এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা মা ও শিশুদের ভবিষ্যত বিপর্যস্ত হওয়ার কারণ সমূহের অন্যতম বলেও মনে করেন তারা। এভাবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি ঘরে এমনকি প্রতিটি পরিবারে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী ১০ বছরে এই এলাকায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য সচেতন মহলের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এটি একটি ঘনবসতি গ্রাম। গ্রামের লোকজন বিভিন্ন সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগছেন। অনেক পরিবারেই প্রতিবন্ধি শিশু রয়েছে। তাদের ভাতার ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোরদাবি জানান।
স্থানীয় চিকিৎসক শিবলী খান বলেন, গর্ভকালিন মা-বাবার অসেচতনতা ও অপুষ্টি জনিত কারণই মূলত প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এ সমস্যা নিরসন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।