গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
হঠাৎ করেই চলনবিলে জেকে বসেছে শীত। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলায় দেখা মেলেনি সূর্যের। উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাশের সাথে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় যেন স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ঈশ্বরদি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরমান আলী জানান, বৃহস্পতিবার চলনবিলের উপজেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আগামী দুএকদিন পর মৃদ থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।
এদিকে হঠাৎ শীতের কারণে ছোট শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের বেড়েছে কষ্ট। নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতে গরম কাপর সংগ্রহের জন্য ছুটছেন স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় বিভিন্ন স্থানে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে যান চলাচল করছে ধীর গতিতে। বৃহস্পতিবার এসএসসি পরিক্ষার প্রথমদিন হওয়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে দুরদুরান্তের অনেক পরিক্ষার্থীকে সঠিক সময়ে হলে পৌঁছাতে হিমছিম খেতে হয়। এছাড়া, এ বছর সরকারিভাবে বেশকিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে শীতের এই মাঝামাঝি সময়ে এসে জানিয়েছেন প্রত্যান্ত গ্রামগুলোর অতি দরিদ্র মানুষরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় দফায় হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রাণীকূলের সাময়িক দুর্ভোগ হলেও রবিশস্য ভান্ডার হিসেবে ক্ষ্যাত এ উপজেলার গমের দানা গঠনে খুবই সহায়ক হবে। আর শরিসার ফল গঠন হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নাই।