গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
হাসপাতাল আঙিনার এক পাশের জঙ্গলের মধ্যে পরে আছে সরকারিভাবে পাওয়া ছাব্বিশ বছর আগের একটি এ্যাম্বুলেন্স। আরেকটি নতুন হলেও এর কদর নেই। সামান্য দুর্ঘটনার সীকার হয়ে হস্তান্তরের পাঁচ দিন পর থেকে মেরামতের অভাবে অচল হয়ে পড়ে আছে চার মাস যাবৎ।
জানা যায়, রোগী পরিবহনের জন্য তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮৬ সালে সরকারিভাবে একটি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। যার নম্বর সিরাজগঞ্জ-ব-৩। দুই বছর পর গাড়িটি নষ্ট হলে অর্থের অভাব আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেই থেকে হাসপাতাল আঙিনার এক পাশে জঙ্গলের মধ্যে ধুলোবালির আস্তরণে মরিচা ধরে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে আছে গাড়িটি। ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে এর বেশকিছু মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
এছাড়া গত বছরের ২৫ অক্টোবরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমএসডি’র দেওয়া একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স স্থানীয় সাংসদ গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এর মাত্র পাঁচ দিন পর তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে খালখুলা নামক স্থানে পেছনে থাকা একটি পুলিশ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় এ্যাম্বুলেন্সটির সামনের অংশটি সামান্য মুচরে যায়। সেই থেকে প্রায় ভগ্নদশায় হাসপাতালের পেছনে আগাছার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে সেই আগের এ্যাম্বুলেন্সটির মত একেবারে নতুন এ্যাম্বুলেন্সটিও।
এদিকে তিন লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র এ হাসপাতালটিতে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়ে থাকায় উপজেলার সাধারণ মানুষ গুরুতর অসুস্থ্য রোগী পরিবহন নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। একটি এ্যম্বুলেন্স জরুরী ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও বগুড়াস্থ জিয়া মেডিকেলে গেলে প্রসূতি ও মুমূর্ষ রোগী নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় অন্যান্য রোগীর স্বজনদের। পরিস্থিতির সীকার নিরুপায় রোগীদের বিকল্প যানবাহনে যেতে গুণতে হয় দ্বিগুণ টাকা।
বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা. সবিজুর রহমান বলেন, নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মৌখিকভাবেও স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করে চালু করা যাবে।