ফারজানা খাতুন, আত্রাই অগ্রনী ডিগ্রী কলেজ, মোহনপুর, রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলার গ্রাম গুলাতে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বাল্য বিবাহ। বাল্য বিবাহের কারণে একটি মেয়েকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বাল্য বিয়ে দেওয়া একধরনের মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাবা মায়েরা তাদের মিয়েকে নির্দিষ্ট বয়সের আগে বিয়ে দেয়। এর কারণে অনেক মেয়েরা বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হই। অপ্রাপ্ত বয়সে যখন একজন মিয়েকে বিয়ে দাওয়া হই তখন তার ওপর একটি সংসারের পুরো দায়িত্ব পড়ে ,মেয়েটি ছোটো হওয়া সত্বেও পরিবারের সব কাজ করতে চেষ্টা করে, কিন্তু সে যখন গর্ভধারণ করে তখন অপুষ্টিতে ভোগে বিভিন্ন ধরনের অসুক হই , বিশেষ করে ফিস্টুলা রোগ, আর সন্তানটি ও অপুষ্ট হই, যখন মিয়েটি কোনো কাজ করতে পারেনা তখন শুশুর বাড়িতে তাকে অনেক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।
তার ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়। এই সব অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মিয়েটি আত্মহত্যা করে ,আর না হলে ডিভোর্স হয়ে যাই। আসলে এতেই শেষ না শুধু বাল্যবিবাহের কারণেই দৈনন্দিন বিভিন্ন ভাবে খবর আসে আত্মহত্যার একারণেই বেড়ে তাই অপরাধ-চিত্র তাই সকলের উচিত বাল্যবিবাহকে না বলা।
বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷ ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদনে অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে৷ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক৷ অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে৷ বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।