আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। করোনার মধ্যে মৌসুমী এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর সাথে ভোগান্তিও বাড়ছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই জ্বর ও সর্দি-কাশি বেশিরভাগই মৌসুমী অসুখ, আতঙ্কের কোন কারণ নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ গরম আবার ঠান্ডা ছাড়াও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে সর্দিকাশি কিংবা ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে নগরীতে ভাইরাসজনিত জ্বরের সাথে দেখা দিয়েছে সর্দিকাশিও।
অন্যদের তুলনায় কিশোরদের এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। করোনাভাইরাসের উপসর্গের সাথে মিল থাকায় এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত সবাই।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাচ্চা-কিশোরসহ সব বয়সী রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি।
করোনা হলো কিনা এটা নিয়ে অভিভাবকরা একটু বেশি আতংকিত। যেকোনো জ্বর হলেই তারা করোনা রোগী ধরে নিচ্ছেন। আসলে এটা সিজনাল রোগ। করোনা উপসর্গের সাথে প্রায় মিল থাকার কারণে বাবা-মা একটু আতংকিত হচ্ছেন।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী বলেন, ‘সিজন পরিবর্তনের সাথে বাচ্চাদের বেশি সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে।
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘এখন রোগী অত্যন্ত বেশি। ১০ জনের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনেরই এই ধরনের সমস্যা আছে।
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির শেষ ১০-১৫ দিনের তথ্য-উপাত্ত দেখলে বোঝা যায় করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১০ শতাংশের নিচে ঘোরাফেরা করছে।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনার বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশের অন্য জায়গার চেয়ে অনেক ভালো।