বীর নারায়ণপুর ও ফুলবাড়ি গ্রামের মানুষ অনেকটা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাচ্ছে।এই দুই গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা, স্কুল-কলেজ ও বাজারে কাঁচামাল নেওয়া একদমই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ৩ কিঃমিঃ রাস্তার অবস্থা একদমই বেহাল।
যশোরের কোদালিয়া মেইন রোড থেকে বারী নগর বাজার পর্যন্ত ১৩ কিঃমিঃ সড়ক। এখানে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। যেখানে কোন প্রকার করিমন, ভ্যান,বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল এবং বিভিন্ন প্রকার মটর যান চলচলের কোন গতি নেই।
এখানে বলা যায় বীর নারয়নপুর ও ফুলবাড়ী হল সবজির গ্রাম। আর এই সবজি সাতমাইল বাজার ও খাজুরা বাজারে বাজারজাত করা হয়। রাস্তার কারণেই কৃষকেরা সঠিক সময় সবজি বাজারজাত করতে পারে না। এর জন্য কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। বীর নারায়নপুর ও ফুলবাড়ি গ্রামের প্রধান সবজি হলো বাঁধাকপি, ফুলকপি, মূলা, করোলা, আলু ইত্যাদি। যা বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়। এই বর্ষা মৌসুমে রাস্তার কারণে কৃষকেরা বাজারে সঠিক সময় সবজি বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। যার কারনে সবজির দাম একদমই কম পাই।
এ বিষয়ে ২ নং লেবুতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শওকত আলী বলেন,বিগত বিএনপি সরকারের আমলে রাস্তা পাকা হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা হয় নি। কিন্তু এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এ রাস্তা পাকা হবে। শওকত আলী আরো বলেন, কাশিমপুর গ্রাম থেকে তেলকূপ গ্রাম পর্যন্ত পাকা হওয়ার বাজেট পাস হয়েছে। রাস্তার কাজ করোনা ভাইরাসের জন্য সাময়িক বন্ধ আছে। আর এই রাস্তা বীর নারায়ণপুর ও ফুলবাড়ী গ্রামের মধ্য দিয়ে চলমান। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আবার এই কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান,আমরা আজ ২০ বছর ধরে শুনতেসি এ রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু এখনো সেই রাস্তা পাকা হয়নি। আবার অনেকে বলেন বিভিন্ন সময় এমপি ও মন্ত্রীরা এসে এ রাস্তা পাকার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। আবার অনেকে দুঃখ করে বলেন আমরা হয়তো মরে যাওয়ার পরে এ রাস্তা পাকা হতে পারে। কিন্তু এই মানুষদের কবে যে কষ্টের অবসান হবে সেটাই দেখার বিষয়। মাননীয়ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট বীর নারয়ণপুর ও ফুলবাড়ী গ্রামবাসীর একমাত্র চাওয়া হল এ রাস্তাটি দুরূত পাকা করা হোক।