ফরিদপুরের ভাংগা এলাকা থেকে অপহরণের দুইদিন পর, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এলাকা থেকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। একইসঙ্গে, অপহরণকারীকেও আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজির আলমের দিক নিদের্শনায় এসআই নবেল সরকার ও এএসআই জামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ কারী সুজন মিয়া(২১) কে ও অপহৃত নাদিরা আক্তার (১৪) কে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানায় নিয়ে আসে।
সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলা গাঁও গ্রামের মৃত মো.সরাফত আলীর পুত্র।
মেয়ের বড় ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হিরালদী গ্রামের মোসারফ হোসেনের মেয়ে নাদিরা আক্তার (১৪) স্থানীয় উম্মে হাম্মি মহিলা মাদ্রাসার ৬ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সুজন ওরফে মানু মিয়া একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে রাস্তার নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করত। সে সুবাদে নাদিরা মাদ্রাসায় যাওয়া আসার সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত, তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে ০৪.০৯.২০২০ তারিখে ১০ ঘটিকায় বাড়ি হইতে স্থানীয় ছিলাধর চর সদরদী এলাকা থেকে জোরপূর্বক গাড়িতে উটাইয়া অপহরণ করে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নিয়ে আসে।
এব্যাপরে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজির আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের মামলাটি যেহেতু ফরিদ পুরের ভাংগা উপজেলায় সে জন্য আটক কৃত সুজনকে ও অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভাংগা থানা পুলিশের হাতে দুজনকে তুলে দেওয়া হয়েছে।