ভাদ্র পূর্ণিমা (মধু পূর্ণিমা) উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা দেন বিহার অধ্যক্ষ সূদর্শী স্থবির।
এ উপলক্ষে পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদানসহ নানবিধ দান করা হয়।
এ সময় দেশ জাতি ও সকলের হিতসুখ মঙ্গল কামনায় মহামারি করোনা যেন অচিরেই দুর হয়ে যা সে জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে জাতীয় পতাকা ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের পর আর্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারের পাশের্^ উপাসক-উপাসিকাদের চাষ করা পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জুম খেতের ধান কাটা উৎসবের আয়োজন করা হয়। জুমধান কাটার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা।
এ সময় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা কৃষাণীরা জুম ধান কাটেন। পরে বিহার এলাকায় নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন শতরূপা চাকমা।
অনুষ্ঠানে শতরূপা চাকমা বলেন বৈশি^ক এই মহামারিতে সকলের উচিত যার যার ধর্মীয় বিধান মেনে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করা যাতে সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় আমরা যেন দ্রুত এই করোনা নামক মহামারি থেকে মুক্ত হতে পারি।
তিনি আরও বলেন, জুমচাষ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী একটি চাষ। সেই জুমচাষকে ঠিকেয়ে রাখার জন্য আজ আর্যমৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যাক্ষ সৃদর্শী স্থবির ভান্তে যেন জুম ধান কাটার উদ্বোধন করলেন তা জুম ধান চাষিদের জন্য মাইলফলক। জুম চাষিরা এতে জুমচাষে আরও উৎসাহিত হবে। আর আমাদের সকলের উচিত জুমচাষিদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
অন্যান্য কৃষকদের মতো জুম চাষিদের প্রণোদনা দেওয়া উচিত বলেন তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সতীশ চন্দ্র চাকমা, শিল্পী চামেলী ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী ত্রিপুরা ও আর্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যাক্ষ সৃদর্শী স্থবির ভান্তে ও বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।